ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে যে বিষয়গুলি জানা অত্যন্ত জরুরি। (Important things to know before Internet using in Bengali)
আজকের দিনে ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুতগতিতে বেড়ে চলছে ফলে সমাজ ও অর্থবাবস্থায় এর প্রভাব পড়েছে। যেমন, একদিকে সামাজিক মেলামেশার ধরন বদলাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া উপর নির্ভরতা বাড়ছে তেমনি অন্যদিকে ব্যাংকের কাজকর্মের থেকে মুদিখানার অর্ডার ইন্টারনেটের মাধ্যমে হচ্ছে। ফলে ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমশ জরুরি হয়ে উঠছে।
ইন্টারনেট অনেক কাজকে যেমন সহজ করেছে তেমনি, সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেকেই এর মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। তাই আজকের এই পোষ্টটিতে প্রাথমিক কিন্তু অত্যন্ত জরুরি কিছু বিষয়ে আলোকপাত করা হলো। আশা রাখি এগুলি আপনাদের উপকারে আসবে এবং ইন্টারনেট সম্বন্ধীয় প্রতারণা থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
এই পোষ্টটিতে আমরা প্রযুক্তিক (technical) জিনিসগুলিকে সহজ সরল ভাষায় বোঝানের চেষ্টা করব।
ইন্টারনেট কি?
সহজ সরল ভাষাতে বললে বলা যায়, ইন্টারনেট (Internet) একটি পরিষেবা / মাধ্যম (medium) যার মাধ্যমে আমরা এই পরিষেবাতে / মাধ্যমে যুক্ত জিনিসগুলির মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করতে পারি।
আমি কিভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারি?
আজকের দিনে ইন্টানেট পরিষেবা বহুবভাবে পাওয়া যেতে পারে।
- মোবাইল নেট: আপনার কাছে যদি কোনো স্মার্টফোন (মানে কোন অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন) থাকে তবে আপনি আপনার ফোনে থাকা সিম কার্ডটির মাধ্যমে এই পরিষেবা পেতে পারেন।
- তারের মাধ্যমে: আপনি ইন্টারনেট পরিষেবা তারের মাধ্যমেও পেতে পারেন। তার জন্য আপনার বাড়ির কাছাকাছি "ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার" থাকতে হবে যারা তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে।
সাধারণভাবে এগুলি কেবল নেট, ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
ইন্টারনেট পরিষেবা ফ্রি নাকি এর জন্য টাকা লাগে?
ইন্টারনেট পরিষেবা নেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়।
ইন্টারনেট পরিষেবার দাম ব্যবহার্য ডেটা এবং ডেটা স্পীডের উপর নির্ভর করে।
ডেটা (Data) কি?
আমরা যখন বাজারে কোন জিনিস, ধরুন, আলু কিনি তখন আমরা কি বলি - যে ১ কিলোগ্রাম বা দু কিলোগ্রাম আলু দিন। আবার তেল কেনার সময় বলি ১ লিটার বা দু লিটার তেল দিন।
অর্থাৎ কিলোগ্রাম বা লিটার হলো ওই বস্তুগুলির পরিমাপের একক।
তেমনি ইন্টারনেট পরিষেবা কে মাপা হয় ডেটার(data) ভিত্তিতে।
যখন আমরা বলি - এই ফোনটির মেমরি ৬৪ জিবি, এই "৬৪ জিবি" ডেটার পরিমাণকে বোঝাচ্ছে। অর্থাৎ ঐ মেমোরিতে "৬৪ জিবি" ডেটা বা তথ্য স্টোর করা যাবে।
ডেটার কিছু একক এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক
১ বাইট(Byte) = ৮(bit) বিট
১ কিলোবাইট(KB) = ১০২৪ বাইট
১ মেগা বাইট(MB) = ১০২৪ কিলোবাইট(KB)
১ গিগা বাইট(GB) = ১০২৪ মেগা বাইট(MB)
১ টেরা বাইট(TB) = ১০২৪ গিগা বাইট(GB)
আমি ডেটার পরিমান জেনে কি করব?
ইন্টারনেট পরিষেবার দাম ডেটার পরিমান এবং ডেটা স্পীডের উপর নির্ভর করে। ফলে আপনি যদি জানেন সারা মাসে আপনি কত ডেটা ব্যবহার করছেন তবে ইন্টারনেট প্যাক ভরার সময় সঠিক প্যাকটি নির্ণয় করতে পারবেন এবং ফালতু খরচ থেকে বাঁচতে পারবেন।
ডেটা স্পিড কি?
ডেটা স্পিড বলতে বোঝায় যে স্পীডে আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটার আদান প্রদান হচ্ছে।
ধরাযাক, একটি ইন্টারনেট কানেক্শনের স্পিড ২MB/s (দুই এম বি পার সেকন্ড)। তাহলে ঐ ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে দুই মেগা বাইট ডেটার আদান প্রদান করা যাবে।
ডেটা স্পিড সম্বন্ধে যে জিনিসটি খেয়াল রাখা প্রয়োজন তা হল MB এবং Mb এর পার্থক্য।
MB বলতে বোঝায় মেগা বাইট।
Mb বলতে বোঝায় মেগা বিট।
১MB=৮Mb
কেবল ইন্টারনেট কানেক্শনের স্পিড সাধারণত Mb তে (মেগা বিট) লেখা থাকে।
ইন্টারনেট স্পিড মোটামুটি দুই ধরণের- আপলোড স্পিড এবং ডাউনলোড স্পিড।
আপলোড স্পিড বলতে কি বোঝায়?
আপলোড স্পিড বলতে বোঝায়, যে স্পীডে আপনি ডেটা আপনার ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন।
ডাউনলোড স্পিড বলতে কি বোঝায়?
ডাউনলোড স্পিড বলতে বোঝায় যে স্পীডে আপনি ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে স্টোর করতে পারবেন।
এতক্ষন আমরা মোটামুটি ভাবে ইন্টারনেট সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি।
এখন ইন্টারনেট হলো তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম। এই তথ্য(data) আদান প্রদানের জন্য আমাদের ডিভাইসে "ইন্টারনেট ব্রাউজার " সফটওয়্যার বা অ্যাপ থাকা প্রয়োজন।
ইন্টারনেট ব্রাউজার (Internet Browser) কি?
ইন্টারনেট ব্রাউজার হলো একটি সফটওয়্যার (বা অ্যাপ) যার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ওপেন করতে পারি।
কয়েকটি জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজারের উদাহরণ হলো-
- গুগল ক্রোম (Google chrome)
- ফায়ার ফক্স ব্রাউজার (Firefox Browser)
- অপেরা ব্রাউজার (Opera Browser)
- মাইক্রোসফট এজ (Microsoft Edge)
যদি কোন ওয়েবসাইট ওপেন করার থাকে বা কোন কিছু সার্চ করার থাকে, তবে আমরা যে কোনো ইন্টারনেট ব্রাউজার ওপেন করে তা করতে পারি।
ওয়েবসাইট কি?
ওয়েবসাইট কি তা আমরা একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝব।
কোন একটি বাজারের কথাই ভাবা যাক। একটি বাজারে বিভিন্ন দোকান, মনুষজনের বাড়ি ইত্যাদি রয়েছে। এখন যদি আমি জামা কিনতে চাই তবে আমি একটি বস্ত্র বিপনীতে যাবো এবং সেই দোকানে থাকা জামা থেকে আমার পছন্দেরটি নেব।
ওয়েবসাইট ঠিক ঐ দোকান, বাড়ির মত কিন্তু ভার্চুয়াল (virtual)। একটি দোকান বা বাড়ির যেমন নাম থাকে তেমনি একটি ওয়েবসাইটেরও একটি নাম থাকে। ওই নামটি ব্রাউজারে লিখে সার্চ করলে আমরা ঐ ওয়েবসাইটের মধ্যে থাকা জিনিসগুলি দেখতে পাব।
যেমন "www.google.com" এটি একটি ওয়েবসাইটের নাম।
এটি কে ঠিকানা ও বলতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি কে সাধারণ ভাবে ওয়েব এড্রেস (web address), ইউ আর এল (URL) বা ওয়েবসাইটের লিংক (link) বলা হয়ে থাকে।
এখন যে কথাটি সবসময় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল, যে কোনো সরকারি(Government) ওয়েবসাইটের নামের মধ্যে .gov(ডট gov) থাকবে এবং তার পর আর একটি ডট থাকবে এবং তার পর দেশের জন্য বরাদ্দ একটি ইন্টারনেট কোড থাকবে (যেমন ভারতের ক্ষেত্রে in এবং বাংলাদেশের জন্য bd ) এবং তারপরই ওয়েবসাইট শেষ হবে।
একটি উদহারণ নিয়ে জিনিসটা বোঝা যাক।
- ভারতের একটি সরকারি ওয়েবসাইট হলো www.india.gov.in ।
দেখুন .gov.in কথাটি রয়েছে এবং শেষে রয়েছে। অর্থাৎ এটি ভারতের একটি সরকারি ওয়েবসাইট। - বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট হল www.bangladesh.gov.bd ।
দেখুন .gov.bd ওয়েবসাইটের শেষে রয়েছে অর্থাৎ এটি বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট।
ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট চেনার উপায় কি?
কোনগুলি ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট তা সবসময় সঠিক করে বলা খুব মুশকিল।
তবে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট থেকে বাঁচা যেতে পারে।
নিয়ম গুলি নিম্নলিখিত-
- কোন বেআইনি (illegal) কাজের ওয়েবসাইটে ভিজিট না করা।
- কোন অশ্লীল ছবি বা ভিডিও দেখার ওয়েবসাইটে ভিজিট না করা।
- ওয়েবসাইটের নামের আগে https:// আছে কিনা দেখা এবং কেবলমাত্র https:// যুক্ত ওয়েবসাইটে ভিজিট করা।
- যদি ওয়েবসাইটটি https:// দিয়ে শুরু হয় তবে ব্রাউজারে যেখানে ওয়েবসাইটের ঠিকানা (web address
বা URL) উঠছে সেখানে একটি তালা চাবির (lock) ছবি থাকবে। - ব্যাঙ্কিং (Banking) এর কাজকর্মের জন্য নির্ভরযোগ্য জায়গা (Authentic source) থেকে ব্যাংকের ওয়েবসাইটের নামটি জেনে তা ওপেন করা।
- এখন স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকের কাজকর্মের জন্য ব্যাঙ্ক গুলি অ্যাপ (app) বের করেছে। কোন অ্যাপটি ব্যাংকের প্রকৃত অ্যাপ তা জেনে ডাউনলোড এবং ইন্স্টল্ (install) করুন।
এখন আম্মাদের ইন্টারনেট ব্রাউজার এবং ওয়েবসাইট সম্বন্ধে প্রাথমিক কিন্তু জরুরি ধারণা হয়ে গেছে।
এখন ধরুন আমি জানতে চাই "কিভাবে রামধনু তৈরী হয়"। এখন আমি তো জানি না কোন ওয়েবসাইটে এই তথ্যটি রয়েছে। তাহলে আমি কি করে জানবো কোন ওয়েবসাইটে তা রয়েছে?
তার জন্য আমাকে সার্চ ইঞ্জিন (Search engine) আর সাহায্য নিতে হবে।
সার্চ ইঞ্জিন কি?
কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যাদের কাজ হল কোন ওয়েবসাইটে কি রয়েছে তা জেনে, স্টোর করা। ফলে কেউ যখন ঐ ধরণের কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন কিছু সার্চ করে বা জানতে চায় তখন ওয়েবসাইটি সঞ্চিত তথ্য থেকে বলে দেয় যে কোন ওয়েবসাইটে বা ওয়েবসাইট গুলিতে জানতে চাওয়া প্রশ্নটির উত্তর রয়েছে। এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলিকে বলে সার্চ ইঞ্জিন।
জনপ্রিয় কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিন এর web address (বা URL) হল-
www.google.com
www.bing.com
www.search.yahoo.com
www.duckducgo.com
আমার ইন্টারনেট ব্রাউজারে প্রশ্ন লিখে সার্চ করেছি, সার্চ রেজাল্ট আসছে। তাহলে সার্চ ইঞ্জিন কি করতে দরকার?
সার্চ (search) করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন দরকার। সাধারণত ব্রাউজার গুলিতে আগে থেকে একটি সার্চ ইঞ্জিন নির্দিষ্ট করা থাকে তাই প্রত্যেকবার আর সার্চ ইঞ্জিনের web address লিখতে হয় না। কেউ চাইলে আগে থেকে নির্দিষ্ট করা সার্চ ইঞ্জিন বদলে নিজের পছন্দের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে পারে।
আচ্ছা আমি কি কি সার্চ করছি তা কি কোথাও জমা হচ্ছে?
হ্যাঁ, আপনি কি কি সার্চ করছেন এবং কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন তা ব্রাউজারের মধ্যে স্টোর হচ্ছে।
আপনি কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন তা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) (মানে যে কোম্পানির কাছ থেকে আপনি ইন্টারনেট পরিষেবা নিচ্ছেন) তারা স্টোরে করছে।
আমি যা সার্চ করছি বা কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছি তা আমি রাখতে চাই না, ডিলিট করে দিতে চাই। কি ভাবে তা করব?
প্রত্যেকটি ব্রাউজারে "History" বলে একটি অপসন আছে। সেখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার পুরোনো সার্চ এবং ভিজিটেড ওয়েবসাইট।
ওখানেই "Clear History", "Clear Browsing data" এরকম কোনো অপসন থাকবে। সেখানে থেকেই ওগুলি ডিলিট বা মুছে ফেলা যাবে।
কিন্তু আপনার ISP (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) যেগুলি স্টোর করছে তা আপনি মুছে ফেলতে পারবেন না।
আমরা এপর্যন্ত ইন্টারনেট, ডেটা, ব্রাউজার, সার্চ ইঞ্জিন ইত্যাদি বিষয়ে জানলাম।
এখন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় একাউন্ট (account) সম্পর্কে প্রায়ই ব্যাবহৃত কিছু পরিভাষা (terminology) জানবো।
সাইন আপ (Sign up) বা ক্রিয়েট একাউন্ট (Create account) মানে কি?
"Sign up" বা "Create account" এই পরিভাষা গুলি অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে থাকে।
যেমন ব্যাংকে আপনার একটি একাউন্ট (account) আছে তেমনি কোন ওয়েবসাইটে আপনি সাইন আপ (Sign up) বা একাউন্ট ক্রিয়েট করলে সেই ওয়েবসাইটে আপনার একটি একাউন্ট তৈরী হবে। এবং ঐ account টিতে আপনার বিভিন্ন তথ্য থাকবে।
ফেসবুক (www.facebook.com) একটি সোশাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। এখন যদি আপনি ফেসবুকে সাইন আপ (Sign up) করেন তবে ওই ওয়েবসাইটে আপনার একটি একাউন্ট (account) খুলে গেল। এখন ঐ ওয়েবসাইটে ঐ একাউন্ট এর মধ্য দিয়ে যা যা করবেন তা ঐ একাউন্ট এ স্টোরে হয়ে থাকবে।
"সাইন ইন"(Sign in) বা "লগ ইন"(Log in) মানে কি?
ধরুন কোনো ওয়েবসাইটে আপনি Sign up করে একাউন্ট তৈরী করেছেন। একাউন্ট তৈরী করলে তার একটি ইউজার নেম (User name) বা ইউজার আই ডি (User Id) এবং পাসওয়ার্ড (Password) থাকবে।
কোন ওয়েবসাইটে যদি আপনার একাউন্ট থাকে তবে User id / User name এবং Password ব্যবহার করে "Log in" বা "Sign in" অপশনের মাধ্যমে ওই account টিতে ঢুকতে পারবেন।
"সাইন আউট" (Sign out) বা "লগ আউট" (Log out) মানে কি?
ধরুন আপনি কোন একটি account এ Log in বা Sing in করে কোন কাজ করছেন। এখন আপনার আজকের মত কাজ শেষ। আপনি একাউন্টটি লক করে রাখতে চান যাতে অন্য কেউ তা না ব্যবহার করতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপনি "Sign out" বা "Log out" অপসন ব্যবহার করে একাউন্ট টিকে লক করে রাখতে পারেন। আবার যখন দরকার হবে তখন Sign-in / Log in করে নেবেন।
ব্যাঙ্কের বা কোন দরকারি ওয়েবসাইটে Log in / Sign in করলে কাজের শেষে অবশ্যই Log out / Sign out করে দেবেন।
OTP (ও টি পি) কি?
OTP এর পুরো নাম হলো One Time Password (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড)।
অনেক সময় একাউন্টের authentication এর জন্য (মানে একাউন্টটি আপনার কিনা যাচাই করার জন্য) ওই একাউন্ট এর সঙ্গে যুক্ত ফোন নাম্বারে বা email এ একটি নাম্বার বা শব্দ বা শব্দ, নাম্বারের সমষ্টি আসে যা একবার submit বা ব্যবহার করার পর invalid হয়ে যায় (মানে ওটা আর কাজ করবে না)।
ওই ধরনের নাম্বার বা শব্দ বা নাম্বার, শব্দের সমষ্টিকে OTP বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বলে।
OTP (ও টি পি) সম্পর্কিত কিছু জরুরি তথ্য
- কোন ওয়েবসাইট যখন account এর সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নাম্বারে বা email এ OTP পাঠায় তার মূল উদ্দেশ্য হলো account এর authentication করা অর্থাৎ এটা যাচাই করা যে ওই একাউন্টটি যার সেই ব্যক্তি একাউন্টটি ব্যবহার করছে কিনা।
- ফলে যদি আপনি কাউকে OTP বলে দেন সেক্ষেত্রে যাকে বললেন সেই ব্যাক্তির আপনার একাউন্ট এর মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানের সম্ভবনা বেড়ে যায় ফলে OTP শেয়ার করার আগে একবার ভাববেন।
- ব্যাঙ্ক থেকে আসা OTP কাউকে শেয়ার করবেন না।
- ATM কার্ড / ডেবিট কার্ড / ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে টাকা ট্রাঞ্জাকশনের (transaction) সময় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে OTP আসে এবং তাতে কত টাকা ট্রাঞ্জাকশন (transaction) হচ্ছে তা লেখা থাকে। ওই ধরণের OTP কাউকে শেয়ার করবেন না। শেয়ার করলে আপনার টাকা গায়েব হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
- OTP কিসের জন্য পাঠানো হয়েছে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লেখা থাকে এবং OTP সর্বদা আপনার ব্যাবহারে জন্য। সুতরাং, OTP এর মেসেজ এলে ভালো করে পড়ুন।
আসা করি এই লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকারে আসবে।
সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment